বিরিয়ানি রেসিপি ঘরে বসেই রাঁধুন সুস্বাদু বিরিয়ানি- Biriyani recipe
" বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে বন্ধুর বাড়ির বিরিয়ানির গন্ধ আমার বারই আসে " বিরিয়ানি, বাংলার মানুষের খুবই প্রিয় একটা খাবার। বিরিয়ানি পছন্দ করেন না অথবা বিরিয়ানি খান না এমন মানুষ খুবই কম আছে বাংলাদেশ এ। আমরা অনেকে বাড়িতে বিরিয়ানি রান্না করে ঘরোয়া বিরিয়ানির স্বাদ নিতে চায় কিন্তু জানিনা বিরিয়ানি রান্না কীভাবে করতে হয়। তো আপনিও যদি বাড়িতেই রান্না করতে চান সুস্বাদু বিরিয়ানি তাহলে এখনি হাড়ি কড়ায় নিয়ে বসে পড়ুন। না হাড়ি কড়ায় নিয়ে বসে পড়ার আগে আমাদের বিরিয়ানি রেসিপি টি পুরোপুরি পড়ুন এবং শিখে নিন ঘরে বসে সুস্বাদু বিরিয়ানি রান্নার রেসিপি।
বিরিয়ানি পরিচিতিঃ
বিরিয়ানি সুগন্ধি চাল, ঘি, গরম মশলা এবং মাংস একত্রে মিশিয়ে রান্না করা হয়। বিরিয়ানি মূলত একটি উর্দু শব্দ যা ফার্সি ভাষা থেকে এসেছে। উত্তর ভারত, দিল্লির ( মোঘলীয় রন্ধনপ্রণালী ) মুসলিম বসতী পূর্ণ স্থান গুলীতে বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় বিরিয়ানির উৎপত্তি লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশ, ভারত মায়ানমার সহ বিভিন্ন দেশে বিরিয়ানির আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা লক্ষ করা যায়।
চমৎকার বিরিয়ানি রেসিপি ( উপকরণ )
- গরুর মাংস ১ কেজি ( পরিষ্কার করে ধুয়ে নিবেন )
- পোলাও চাউল ১ কেজি
- এলাচ ও দারুচিনি বাটা ১ টেবিল চামচ
- আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
- পেয়াজ কুচি ১ কাপ
- পেয়াজ বাটা আধা কাপ
- তেল ১ কাপ
- আলু ১ কাপ
- কিসমিস ১০ থেকে ১৫ টি
- চিনাবাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ
- টক দই আধা কাপ
- যতটুকু চাউল তার দিগুণ গরম পানি
- তেজপাতা ৪ টি
- লবণ পরিমাণ মত
- গুড়া জিরা ১ টেবিল চামচ
- গোলাপ জল ১ চামচ
- কাচা মরিচ পরিমাণ মত
- শুকনা মরিচ ১ টেবিল চামচ
- ঘি ৩ টেবিল চামচ
- ধনে ১ টেবিল চামচ
কিভাবে রাঁধবেন বিরিয়ানি ?
- প্রথমে একটি পাত্রে পেয়াজ কুচি গুলো পরিমাণ মত তেলে ভাজতে হবে। পেয়াজ গুলির রঙ বাদামি হয়ে গেলে সেখান থেকে অর্ধেক পরিমাণ পেয়াজ অন্য একটি পাত্রে উঠিয়ে রাখতে হবে। বাকি অর্ধেক পেয়াজের ভেতর লবণ, তেজপাতা, দই সহ বাকি মশলা দিয়ে সেটা পানি দিয়ে কসাতে হবে। ( তেল ছাড়া পর্যন্ত )
- এরপর এ মশলার ভেতর মাংস গুলো দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে মাংসের পানি ছাড়া পর্যন্ত। তারপর সেই পানি মাঝারি আচে শুকিয়ে ফেলতে হবে। এখন পরিমাণ মত পানি দিয়ে মাংস পুরোপুরি সেদ্ধ হওয়া অবধি ভালো ভাবে কষতে হবে। অবশ্যই একটু পর পর মাংস নাড়িয়ে দিতে হবে।
- অন্য একটা পাত্রে ঘি দিয়ে তার ভেতর এলাচ, তেজপাতা, দারুচিনি দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে ধুয়ে রাখা পোলাও চাউল দিয়ে ভালো করে ভাজতে হবে। এমন ভাবে ভাজতে হবে যেন চাউল পুরোপুরি ঝরঝরে হয়। তারপর পানি ও লবণ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
- মাংস এবং ভাত রান্না হয়ে গেলে ভাত অর্ধেকটা উঠিয়ে রেখে দিতে হবে। বাঁকই অর্ধেক টা ভাতের উপরে মাংস দিয়ে তার উপরে বাঁকই অর্ধেকটা ভাত দিতে হবে। এরপর কেওয়া জল এবং গোলাপ জল দিতে হবে এবং প্রথমে উঠিয়ে রাখা পেয়াজ দিয়ে ২০ মিনিট ঢেকে রেখে দিতে হবে। ব্যাস তৈরী হয়ে গেলো চমৎকার বিরিয়ানি।
বিরিয়ানি রান্নার ক্ষেত্রে সাবধানতা
- মশলা কষানোর সময় অবশ্যই অল্প পানি দিবেন না হলে মশলা পুড়ে বিরিয়ানির স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- পোলাও চাউল ঝর ঝরে করে ভাজতে হবে না হলে ভাত ঝর ঝরে হবে না। আর ভাত ভালো না হলে অবশ্যই বিরিয়ানিও ভালো হবে না।
- চাউলে পানি দেবার সময় অবশ্যই দিগুণ পানি দেবার কথা মাথায় রাখবেন।
No comments