Header Ads

study motivation bangla কিভাবে পড়াশুনায় মন বসবে?

Study motivation Bangla কিভাবে পড়াশুনায় মন বসবে?

কিভাবে পড়াশুনায় মন বসবে?

আমাদের ভেতর যারা স্টুডেন্ট অর্থাৎ যারা স্কুল বা কলেজে পড়াশুনা করি তাদের ভেতর ম্যাক্সিমাম মানুষ দেরি প্রধান সমস্যা হল পড়াশোনায় মন না বসা। পড়াশুনা করতে বসলে দুনিয়ার চিন্তা মাথায় ভর করা। তারমানে কিন্তু আবার এই নয় যে সব স্টুডেন্টদের কখনো পড়তে ইচ্ছা করে না, সত্যি তো এটাই যে প্রত্যেক স্টুডেন্টই চাই পড়াশোনা করে ভালো রেজাল্ট করতে। নিজের জীবনে বড় হতে কে না চায়, কে না চায় সবার সেরা হতে? কিন্তু যখনি আমরা ভাবি যে পড়তে বসবো, কিংবা পড়তে বসেও যায় তখন আমরা ভাবি আজ কিছু একটা করে ফেলবো, সব সিলেবাস কম্প্লিট করে ফেলব কিন্তু কয়েক মিনিট পরই আমাদের সমস্ত ভাবনা চিন্তা গায়েব হয়ে যায়। পড়তে বসলেই আমাদের সমস্ত দুনিয়ার কথা মনে পড়তে থাকে যেমন আমাদের মনে হয় ফেসবুকে অমুক মেয়েকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছি দেখি একসেপ্ট করলো কিনা। দেখি একটু চেক করে নেই এঞ্জেল সাদিয়া অনলাইন এ আছে কিনা, মীম কে আজ কি প্রপোজ করে দেবো? আমার পাবজি খেলাটা কেন খারাপ হয়ে যাচ্ছে কি জানি আজ চিকেন ডিনার কিছুতেই পেলাম না। আর যারা মিঙ্গেল আছি তাদের তো আরও হাজার রকম চিন্তা মাথায় ঘোরে। সোনাপাখি কে নিয়ে কোথায় ঘুরতে গেলে ভালো হয়?, কোন পার্ক সবচেয়ে নিরাপদ? টাকাপয়সাও নেই বাবার থেকে কিছু টাকা ম্যানেজ করতে হবে আজ। অর্থাৎ আপনি খেয়াল করে দেখবেন আপনি সারাদিন যাই করেন না কেন পড়তে বসলে আপনি হয়ে যাবেন প্রেমিক পুরুষ, প্র গেমার কিংবা বাপ্পারাজ ২। আপনি পড়তে বসলেই যেন পাশে থাকা মোবাইল, ল্যাপটপ, ডিপ্রেশন সবকিছু আপনাকে ডিপজলের মত বলবে আহো ভাতিজা আহো। কিছু কিছু মানুষের তো পড়তে বসলে বসার আগে ঘুম চলে আসে। তারপর মনের ভেতর চলে আসে সেই লিজেন্ডারি ভাবনা- নাহ আজ না কাল থেকে ফাটিয়ে দেবো। কিন্তু এই কাল আর আসে না।  

Study motivation Bangla :

এভাবেই বছরের পর বছর কেটে যায়, স্টুডেন্ট লাইফ শেষ হয়ে যায় আর তারপর বাস্তবের সামনা-সামনি দাঁড়িয়ে মনে পড়ে তখন যে কেন একটু পড়লাম না। তো আপনি যদি বর্তমানে এমনই একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন আর যদি ভবিষ্যতে অন্যদের মত আপনিও আফসোস করতে না চান তাহলে যা কিছুই হোক না কেন আজকের এই আর্টিকেল টি একদম শেষ পর্যন্ত অন্তত একবার অবশ্যই পড়ুন। এমনও হতে পারে আজকের দিনটি আপনার জীবনের ঘুরে দাঁড়ানোর দিন।
আমাদের ভেতর যাদের পড়তে ইচ্ছা করে না, বা যাদের পড়ায় মন বসে না, যারা আজ নয় কাল থেকে পড়বো এক্সামের আগে থেকে পড়বো এই ধরনের অজুহাত দিয়ে বাস্তব থেকে ক্রমশ দূরে পালাতে চাইছ তাদের কাছে আমি একটি প্রশ্ন করব যে পড়াশোনার থেকে দূরে পালিয়ে পড়াশোনা না করে আলটিমেটলি তুমি কাকে ঢোকাচ্ছে? তোমার মা-বাবাকে? তোমার টিচার কে? নাকি নিজেকে? জানি এখন অনেকেই আমাকে সীমিত আকারের একটা গালি দিয়ে চলে যাবে কারণ সত্যটা শুনতে সবারই খারাপ লাগে সত্যের মুখোমুখি হওয়ার সাহস সবার থাকে না। যাদের সাহস নেই তাদেরকে যেতে দাও কিন্তু যদি তোমার সাহস থাকে বাস্তবের সামনা সামনি হবার  তাহলে অন্য সব ভাবনা ছেড়ে একবারের জন্য চিন্তা করে দেখো যে পড়াশোনা করলে আসল লাভ টা কার? তোমার বাবা-মায়ের? তোমার টিচারের? নাকি তোমার? আচ্ছা পড়াশোনা করার জন্য একজন মানুষের লাইফে কতটুকুই বা সময় থাকে? ১৫ বছর? ১৬ বছর? ১৭ বছর? আর তার মধ্যে বেশির ভাগটাই তো তুমি অলরেডি পার করে এসেছে। বছর দেখতে দেখতে কেটে যাবে তারপর হাজার চেষ্টা করলেও তুমি কখনোই আর স্কুল লাইফে ফিরে আসতে পারবে না।

আমি জানি পড়াশোনা করা দুনিয়ার সবচেয়ে বোরিং কাজ তোমার পড়তে ইচ্ছা করে না, পড়তে বসলে ঘুম পায় মনে হয় কবে যে পড়াশোনার হাত থেকে মুক্তি পাব? বন্ধুরা সব ৩-৪ টা করে প্রেম করছে আজ উঠে পড়ে লাগলাম আমিও একটা মেয়ে পটিয়েই ছাড়বো। কিন্তু এগুলো কি আসলেই ইফেক্টিভ? চিন্তা করুন তো? আপনি BCS ক্যাডার হয়ে বলুন যে আপনি বিয়ে করবেন দেখবেন যে যতগুলো মেয়ে আপনাকে বিয়ে করার জন্য রাজি হবে আপনার বয়সও তত বছর হয়নি। আর সেসব মেয়ের চেহারা দেখে আপনি রীতিমত কনফিউশনে পড়ে যাবেন কাকে রেখে কাকে এক্সেপ্ট করবেন। যে এঞ্জেল সাদিয়া সব সময় তার পিছে ২-৩ টা ছেলেকে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াতো সেই এঞ্জেল সাদিয়া নিয়মিত আপনার খোজ নিবে আপনি যদি পুলিশ ক্যাডার হয়ে যান।

আপনি পড়াশুনা করে ভালো কিছু করতে পারলে আপনার বাবা মায়ের মুখে কতটা হাসি ফুটবে একবার চিন্তা করে দেখুন। দুনিয়ার সব থেকে বেশি খুশি হবে আপনার বাবা মা যদি আপনি পড়াশুনা করে ভালো কিছু করতে পারেন। তাদের কথা একবার ভাবুন। একবার ভাবুন সবায় আপনাকে কতটা ফালতু মনে করে, কোন কাজে আপনার দোষ না থাকলেও এলাকার ক্ষমতাধর রা আপনাকে সবার আগে এসে দুই চড় মেরে যায়। আপনার বাবা যদি পুলিশের এস পি বা মেজিস্টেড হতো তাহলে কই কেও আপনাকে হেও করতে সাহস পেতো? বরং সবাই আপনাকে তেল দিয়ে চলত। তো আপনি কী  চান না আপনার সন্তানকে এমন অবস্থান দিতে?

এখন আপনি বলতে পারেন আপনার বাবার টাকা নেই অমুকের বাবার আছে সে অনেক প্রাইভেট পড়তে পারে এটা করতে পারে ওটা করতে পারে আমই পারিনা আমাকে দিয়ে হবে না। বিশ্বাস করুন এটায় আপনার সব থেকে বড় বোকামি। একবার আপনার আশে পাশে ফুটপাতে বড় হওয়া বাচ্চাটার দিকে দেখুন যে টাকার জন্য পড়াশুনার বয়সে চায়ের দোকানে কাজ করছে। একটু পড়তে পারাটায় যার স্বপ্ন ছিল। মনে রাখবেন আপনার পরার মত ভালো জুতা নেই বলে কষ্ট পাচ্ছেন আপনার আশে পাশে অনেকের পা ই নেই।

মনে রাখবেন কালকের কোন অস্তিত্ব নেই। যা হবে আজ হবে যা শুরু করতে হবে আজ শুরু করতে হবে। আজ থেকেই পড়াশুনা শুরু করুন আর এখন থেকেই পড়াশুনা শুরু করুন।

1 comment:

Powered by Blogger.
close