ওজন কমানোর সহজ উপায় এবং আপনার পূর্ণ ডায়েট
ওজন কমানোর সহজ উপায় এবং আপনার পূর্ণ ডায়েট
ওজন বেড়ে ওজন বেড়ে গেছে ? বর্তমানে ওজন বেড়ে যাওয়া বা স্থূলতা একটা ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে । ওজন অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে গেলে আপনার নানান রকম রোগ ব্যাধি শরীরে বাসা বাধবে। অনেকের হয়ত চিন্তা করেন আমার তো অনেক বেশি ওজন কিভাবে কমাবো? কিছু পজিটিভ থিংকিং, আপনার চেষ্টা এবং আপনার ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি সব কিছুই নির্ভর করে আপনার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে । সব থেকে বড় কথা হল আপনার ওজন কমানোর জন্য আপনার মনোবল থাকতে হবে । আপনার মনোবল বেশি থাকলে ওজন কমানো কোন বাপারই না । এই আর্টিকেলে আপনি জানবেন ওজন কমানোর সহজ কিছু উপায় এবং ওজন কমানোর জন্য সকাল থেকে রাত অবধি পরিপূর্ণ ডায়েট।
আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনি কোন মিল স্কিপ করছেন কিনা । হটাত করে দেখা গেল আপনি যেমন খেতেন তার অর্ধেক খাওয়া শুরু করে দিলেন এমন টা করা যাবে না । আমাদের ভেতর অনেকেই এমন টা করে থাকি। আমরা মনে করি যে হটাত খাওয়া কমিয়ে দিলে বোধয় ওজন কমে যাবে। কিন্তু আসলে কিন্তু এমনটা হয় না বরং এর ফলে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। বরং আপনি সামান্য খওয়া কমাবেন এবং যা খাবেন একটু একটু করে বেশি বার খাবেন। আগে যদি এক বারে ৩টা রুটি খেতেন এখন ২ টা রুটি দুই বার বা ৩ টা রুটি ৩ বারে খাবেন।
সকালবেলার ডায়েট :
সকালবেলা যাদের ভাত খাওয়ার অভ্যাস আছে ভাত খাওয়া বাদ দিয়ে দেন তার জায়গায় নিয়ে আসেন লাল আটার রুটি এক থেকে দুই পিস হতে পারে। এবং সঙ্গে অবশ্যই সবজি থাকতে হবে হাই ফাইবার জাতীয় সবজি। এবং এই সবজি যতদূর সম্ভব কম তেল দিয়ে রান্না করে খেতে হবে । চেষ্টা করবেন যেন ১ চামচের বেশি তেল দিয়ে রান্না না করা লাগে এবং সবজিতে কোন রকম আলু রাখা যাবে না। অনেকে আবার মনে করেন যে সকালে ডিম খাওয়া যাবে না তাহলে ওজন বেড়ে যাবে। আপনি চাইলে সকালে ডিম খেতে পারেন কিন্তু সেটা কোনোভাবেই ভাজি করে খাওয়া যাবে না। আপনি ডিম খেলে সেটা সেদ্ধ করে খাবেন।
জলখাবারঃ অনেকের সকালের পর কাজ করার সময় বা বাইরে গেলে ক্ষুধা লাগে। এবং সে সময় শিঙ্গাড়া, পুরী জাতীয় খাবার খান এগুলো করা যাবে না। এসময় ক্ষুধা লাগলে লো ক্যালরি কিন্তু হাই ফাইবার জাতীও খাবার খেতে পারেন যেমন ফল বা বাদাম।
দুপুরবেলার খাবারঃ
দুপুর বেলা সারাদিন কাজ করার ফলে ক্ষুধার্ত হওঁয়ে যাওয়া স্বাভাবিক এবং সে সময় আপনার খাবার চাহিদা ও বেশি থাকবে। এসময় পরিমাণ মত ভাত সাথে সবজি এবং মাছ কিংবা মাংস খেতে পারেন। মনে রাখবেন মাছ ভাজি করা যাবে না। এবং মাংস প্রতিদিন খাবেন না। ভাত খাবার পরে ১ কাপ পরিমাণ টক দওয় খাবেন এবং পেট ভয়রে খাবার খাবেন না।
বিকালের খাবারঃ
রাতের খাবারের কথা যদি বলতে হয় তাহলে রাতে ৮ টা থেকে ৮ টা ৩০ এর ভেতর রাতের খাওয়া সেরে নিবেন। দেখা যায় রাতে খাবারের পর মানুষের শারীরিক এক্টিভিটি কমে যায় তায় রাতের খাবার এবং ঘুম এর ভেতর কমপক্ষে ২ ঘণ্টা গ্যাপ রাখা ভালো। ঘুমানোর আগে আপনি একটা ডেইরি প্রোডাক্ট খেতে পারেন।
এগুলো যদি ভালভাবে মেনে চলা যায় তাহলে আপনার ওজন আস্তে আস্তে কমে যাবে। কিন্তু এই যে আপনি কম কম খাচ্ছেন কার্বোহাইড্রেট কম করে ফেললেন তার যায়গাই আপনি প্রোটিন নিয়ে আসছেন ভেজিটেবিল নিয়ে আসছেন এর জন্য আপনাকে মাথায় রাখতে হবে খুব বেশি প্রোটিন না কহেয়ে ফেলেন। খুব বেশি প্রোটিন আপনার কিডনিতে ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারে। আবার এই যে আপনি সকল প্রকার ডায়েট মেনে চলছেন কিন্তু কোন রকম শারীরিক পরিশ্রম করছেন না এমনটা করলে হবে না । নিয়মিত আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে সেটা হ্যাঁটা হোক সাতার কাটা হোক অথবা হোক খেলাধুলা। সারাদিন শুয়ে বসে থাকা যাবে না একটু শারীরিক পরিশ্রম করবেন। ধন্যবাদ আপনার কোনোকিছু জানার প্রয়োজন হলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
বিকালের খাবারঃ
বিকেল বেলা অনেকের অভ্যাস থাকে সামান্য কিছু জলখাবার খাওয়ার কিন্তু এসময় এগুলো খাওয়া যাবে না। আপনি চাইলে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন এবং সেদ্ধ করা ছোলা খেতে পারেন। সেদ্ধ ছোলায় প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। আপনি চিকেন সুপ খেতে পারেন কিন্তু চিকেন সুপে কর্ণ ফ্লাওয়ার দেওয়া যাবে না। সেদ্ধ ছোলা ওজন কমানোর জন্য খুব ভালো কিন্তু ডায়বেডিস রোগীদের ক্ষেত্রে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন নিয়মিত সেদ্ধ ছোলা খাওয়া যাবে না।
রাতঃ
রাতের খাবারের কথা যদি বলতে হয় তাহলে রাতে ৮ টা থেকে ৮ টা ৩০ এর ভেতর রাতের খাওয়া সেরে নিবেন। দেখা যায় রাতে খাবারের পর মানুষের শারীরিক এক্টিভিটি কমে যায় তায় রাতের খাবার এবং ঘুম এর ভেতর কমপক্ষে ২ ঘণ্টা গ্যাপ রাখা ভালো। ঘুমানোর আগে আপনি একটা ডেইরি প্রোডাক্ট খেতে পারেন।
এগুলো যদি ভালভাবে মেনে চলা যায় তাহলে আপনার ওজন আস্তে আস্তে কমে যাবে। কিন্তু এই যে আপনি কম কম খাচ্ছেন কার্বোহাইড্রেট কম করে ফেললেন তার যায়গাই আপনি প্রোটিন নিয়ে আসছেন ভেজিটেবিল নিয়ে আসছেন এর জন্য আপনাকে মাথায় রাখতে হবে খুব বেশি প্রোটিন না কহেয়ে ফেলেন। খুব বেশি প্রোটিন আপনার কিডনিতে ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারে। আবার এই যে আপনি সকল প্রকার ডায়েট মেনে চলছেন কিন্তু কোন রকম শারীরিক পরিশ্রম করছেন না এমনটা করলে হবে না । নিয়মিত আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে সেটা হ্যাঁটা হোক সাতার কাটা হোক অথবা হোক খেলাধুলা। সারাদিন শুয়ে বসে থাকা যাবে না একটু শারীরিক পরিশ্রম করবেন। ধন্যবাদ আপনার কোনোকিছু জানার প্রয়োজন হলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
No comments